সবাই যা ভাবে...
আমরা সবাই ভাবি যে আমি কোন অন্যায় করি না । আমি কোন খারাপ কাজে সহায়তা করি না । আমি কারো প্রতি জুলুম করি না্ । আমি সমাজের অশান্তি বয়ে আনে এমন কাজে, নিজেকে নিযুক্ত করি না । আমি কোন রাজনৈকি কাজে অংশ গ্রহন করি না , যার মাধ্যমে মানুষের ক্ষতি বৃদ্ধি করে । আমি পাচ বার নামাজ আদায় করি । সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা হোক এটাই আমি চাই । আজ যে অবস্থা চলছে তার উন্নতি হোক । আমি চাই সমাজে শান্তির মধ্যদিয়ে সবার প্রতি ন্যায় প্রর্দশিত হোক ।
আমি একজন ভালো ইমানদার, বা ভালো মুসলিম ।
তাদের বলছি , আপনারা অবশ্যই ভালো মানুষ । কিন্তু তা নন । এক প্রবাদে আছে, যখন কেহ চুরি করে তখন সমাজ ধ্বংশ হয় না । যখন কেন মানুষের প্রতি মানুষ নি র্যাতন , জুলুম নিপিড়ন, অন্যায় করে, তখনো সমাজ ধ্বংশ হয় না। তখনই সমাজ অন্ধকারের সমাজে রুপ লাভ করে , যখন সমাজের মানুষের সম্পর্ক নষ্ঠ হয় । একজন আরেক জনের অন্যায়ের প্রতিবাদ করে না।
আমরা সাবাই বলি আমি মুসলিম, কিন্তু মুসলিম কিভাবে এই পৃথিবীতে অবির্ভাব তার মুল বিষয় অনুধাবন করতে ব্যর্থ । ইসলাম কোন যুদ্ধের বা হত্যার মাধ্যমে আসে নি ? এসেছে সত্যের শক্তি নিয়ে, যে শক্তি ধরে রাখতে কারো প্রয়োজন হয় না । সত্য তার নিজের প্রকৃত শক্তির আলোকে যাকে পথ দেখানো তাকে তিনি পথ দেখাবেন । যার অন্তর এর উপরে আবরন, আর কান বধির তাকে কে পথ দেখাবে । সে তো হতভাগা ছাড়া আর কিছুই না ।
আর এই ধরনের হতভাগা হচ্ছে , ঐ সমস্ত মানুষ যারা বলে আমি...
মানে উপরের বর্ননা কৃত মানব শ্রেণী । কারন এরা সমাজের বিশেষ ব্যক্তি, এরা কোন নিচু শ্রেণীর মানুষ নয় । এরাই প্রতিটি গ্রামেরর ভালো পরিবারের অন্তরভুক্ত । একটা গ্রামে ভালো পরিবার খুববেশি থাকে না । গড়পড়তাই ২০ - ৫০ পরিবারের মধ্যেই থাকে । এরা চাইলে গ্রামে যে কোন কিছু করতে পারে । এর বাস্তব উদাহারণ আমার কাছে অনেক আছে । সবচেয়ে ভালো হবে আমার গ্রামের কথা বলা, করন তারা আমাকে জানে, যেভাবে তা ঘটেছে তা্ও সবাই অবগত ,,(যারা আমার গ্রামের লোক )। একটা মসজিদ এর মত প্রতিষ্ঠান বানাতে নেহাত কম খরচা হয় না । তাও আবার সংখা লঘুদের । মানে গ্রামের দুই পক্ষ এর মধ্যে । কিন্তু তার সিধান্ত নিতে ৫০ লোকের মতামত-ই যথেষ্ঠ ছিল । আজো আমি বলতে পারি কোন কাজে জন্য ১০০ জন মানুষ ও যথেষ্ঠ নয় । কিন্তু এও বলতে পারি সেদিন ৫০ জনের বেশি একজনও ছিল না । হয়তো আরো অনেক কমছিল । ঐ প্রতিষ্ঠান বানানর কথাছিল মক্তব অর্থাৎ ছোট নামাজের স্থান । সেটাও আজ করি কাল করি করে হয়ে উঠছিল না ।
কোন শক্তির প্রভাবে এত দ্রুত পরিপুরনতা লাভ করল । এর জবাব আপনাকে আমার বলতে হবে না , বোধ হয় । ঐ মসজিদে যারা নামাজী, তারা আমাকে পচ্ছন্দ করে না । করন তারা আমাকে জন্মের পর থেকে চিনলেও আমাকে জানে না। কারন আমি সাবইকে আমার সম্পর্কে জানার সুযোগ কম দেয় । তাই ভাবতে পারে আমি কি বলবো আর নেগেটিভ ছাড়া । আমার কাছে তারা এর বাইরে অন্য কথা থাকতে পারে তা তারা বিশ্বাস করে না ।
আমি বলছি এটাই ছিল ন্যায় এর শক্তি ।
কারন এর আগেও অনেকে এর জন্য আকাঙ্কখা করতো , , সবাই বলতো ঐ মসজিদ অনেক দুরে, আমাদের পাড়াই মসজিদ থাকলে ভালো হতো , আমরা নামাজ পড়তে পারতাম । কিন্তু কেহ ত্যাগ করতে রাজি ছিল না । আবার যে ত্যাগ করবে , সে অপর পক্ষের কাছে খারাপ হবে কেন?? এই সকল কারনেই কেহ এগিয়ে আসতো ঠিকই কিন্তু ভাবতো আমি একা এসেছি আমার সাথে তো কেহ নাই , এতে তো আমার একা লাভ হবে না । কিন্তু যাদের লাভ হবে তারা কোথাই ?
আজ পুরো গ্রামের ভালো করা তো আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়, সেখানে পুরো দেশ, পুরো পৃথিবী কিভাবে ? এই ভালো মানুষ গুলো আমার কছে বলে । আমি একা অন্যয় এর বিরুদ্ধে গেলে ওরা আমাকে রাস্তা মেরে দেবে । ওরা আমাকে জেলে পুরে দেবে, আর কালকে আমাকে মেরে দেবে ।
আমার দেশের যত গুলো রাজনৈতিক দল আছে তারা সাধারন মানুষের কথা ভাবে না । তারা তাদের ক্ষমতার জন্য রাজনিতি করে । আজ ১০জন সাধারন মানুষ মিছিলে মারা গেলে বলা হয়, ওরা বিরোধী দলের তাই দেশের সরকারের ভাব মুর্তি নষ্ঠ কর ছিল । এদের কে উচিৎ শিক্ষা দেওয়া দরকার । যখন আবার অন্য সরকার আসবে তখনো একই ঘটনার পুনুরাবুত্তি হবে ।
আমি এমনো এলাকার নাম শুনেছি যেখানে, সরকার বদলের সাথে সাথে গ্রামের লোকের বাসভুমিও বদল হয় ।এ কেন কেমন দেশে বাস করি । যেখানে আগে বিবেচনা করা হয় তুমি কোন দলের, তারপর ভাবা হবে তুমি মানষ কিনা ।
অথচ এদের মারতে সরকার আসে না, না আসে বিরোধী দলের নেতা ।
যে লোকটা মারতে আসে সে আর কেহ নয়, আমারই প্রতিবেশি , আমারি ভাই, বা আমারি সহকর্মী, এরাই আমার পরিচিত আপনজন । আজ যদি আমি কোন কথা বলি তাও কার কাছে বলি , আমার আসেপাশের পরিচিত লোকের কাছে, আমার মত স্বাধারন মানুষের কথা বলার বা গল্প করার জন্য কি দেশের প্রধান মন্ত্রীর লাগে , না লাগে কোন বিশেষ কোন বিক্ষ্যাত ব্যাক্তির্ ?
কিন্তু যখন কোন মানুষের প্রতি কিছু করার হয় তখনই , আমরা হয়ে যায় বিশেষ শ্রেণীভুক্ত প্রাণী । তখন থাকে না , আমাদের নাম , না থাকে আমাদের পরিচয়, তখন আমাদেরই একটা রুপ মাত্র । তখন তার, না আছে নাম, না আছে পরিবার, না আছে কোন সম্পর্ক, না আছে মন, না আছে মানবতা । এই নাম, পরিচয় , গন্ধহীন প্রানীর নামই ইবলিশ,
যার কাজই অন্যয় ভাবে হত্যা করা, অন্যের সম্পদ গ্রাস করা ।
এদের কে খুজতে হয় না । এরা আপনার ভালো মানুষের আড়ালে বাস করে ।যে মানুষ ভাল বলে নিজেকে জানে, তারই অন্তরালে এই ইবলিশ পাওয়া যায় ।
এর ব্যাখা পরের লেখা তে....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন