![]() |
Mridhav Solution for human. |
মৌলিক উদ্দেশ্য ছাড়া
কোন কাজের সফলতা পাওয়া যায় না।
মানুষ যে উদ্দেশ্যে
সৃষ্টি তা ভুলে যদি অন্য উদ্দেশ্যে তার জীবন
পরিচালনা করে তবে তো তাকে শুধু দুর্ভোগ পোহাতে হবে। যেমন আমি যদি কাচি তৈরি করি ঘাস
কাটার জন্যে তাহলে কাচির বৈশিষ্ট্যে থাকবে এমন যাতে সহজে ঘাস কাটা যায়। কিন্তু কাচি
দিয়ে যদি আমি ডাল-পালা বা গাছ কাটতে যায় তাহলে কাচিই ভেঙ্গে নষ্ট হবে, যাতে কাচির দুর্ভোগের
–কষ্টের সীমা থাকবে না। তাই আমাদের স্রষ্টা আমাদের এমন উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেনে যার
জন্য আমরা ই বেশি উপুযুক্ত।
তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই আমার প্রশ্ন কি জন্য আমরা সৃষ্টি হয়েছি ?
আর আমাদের সেই কাজ করার মাধ্যমেই জীবনের স্বার্থকতা
খুজে পাবো কি ? এবং তা কি আমাদের জীবনের পরিপুর্ণ লাভ দিতে পারবে ?
আমার উত্তর হ্যা পারবে
। আমরা যে জন্যে সৃষ্ট হয়েছি , সেই কাজ যদি আমরা করি তাহলে আমাদের জীবন শুধু পরোকালেই
নয় বরং পৃথিবীতেও সবচেয়ে সুখী হতে পারবো আমরা। সেই কাজ নামাজ , রোজ, যাকাত বা হজ্জ
নয়।
মানুষ এই উদ্দেশ্যে
সৃষ্টি হয়নি । মানুষের তৈরীর বৈশিষ্ট্য এই এবাদতের উপযোগী না । কারন মানুষের চেয়ে আল্লাহর বেশি এবাদতের উপযোগী হল ফেরেস্তারা। কারন আল্লাহ-তায়ালা তার কোরআনে
বলেছেন : সুরা বাকারা :আয়াত:৩০
”আল্লহ ফেরেস্তাদের
বললেন, আমি পৃথিবীতে আমার প্রতিনিধি পাঠাতে যাচ্ছি । তখন ফেরেস্তারা বললেন, আপনি কি
পৃথিবীতে এমন কাউকে পাঠাবেন যারা সেখানে ফেতনা , ফাসাদ , দাঙ্গা- হাঙ্গামা ও রক্তারক্তি
করবে ? অথচ আমরাতো সর্বদা আপনার তাসবিহ ও পবিত্রতা বর্ণনা করছি । আল্লাহ বললেন, নিশ্চয়
আমি যা জানি, তোমরা তা জান না।”
কত সহজ ও স্পষ্ট ফেরেস্তারা
তো এবাদত ও দাসত্ব করার জন্য সর্বদা থাকেন, কিন্তু মানুষের দ্বারা এই ভাবে এবাদত করা
কোন দিনই সম্ভব নয়। রাসুল বলেছেন , রাতের কিছু
অংশ জ্ঞান অর্জন , সারা রাত এবাদতের চেয়ে উত্ত্ম। তাহলে আমরা নিজেদের পায়ে শুধু কুড়াল
মারছি। এই জন্য আল্লাহ বলেছেন, “ মানুষ যা
ভোগ করে , তা তার দু-হাতের অর্জিত কর্ম ফল ।
”
চিন্তা করে দেখুন,
আল্লাহ প্রথম যে পাঁচটি আয়াতদ নাজিল করলেন , তার কোথাও এবাদতের জন্য বলা হয়নি, আবার
সমগ্র কোরআনে অনেক বার চিন্তভাবনা ও জ্ঞান অর্জনের কথা বলা হয়েছে, ঐ তুলনাই দশভাগের এক ভাগ কথা বলা হয়েছে নামাজের জন্য, রোজার
জন্যে , হজ্জের জন্য, । তার প্রধান কারন মানুষ যাতে বুঝতে পারে তাকে কোন উদ্দেশ্যে
সৃষ্টি করা হয়েছে, কিন্তু সবাই নেকির পেছনে ছুটছি। এটাই মুসলিম জাতির অধ:পতনের জন্য
দায়ি।
আল্লাহ স্পষ্ট বলেছেন
“ তোমরাই হলে সর্বোত্তম জাতি । মানব জাতির কল্যাণের জন্যই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে
।তোমরা ন্যয় কাজের বাস্তবায়ন করবে এবং অন্যয় কাজের প্রতিরোধ করবে এবং আল্লাহর প্রতি
ইমান রাখবে ।” (আল-ইমরান:১১০)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন