প্রকৃত স্রষ্টার ধারণাই শান্তিই আনতে পারে ।




এরাই হিদায়াতের বিনিময়ে ভ্রষ্টতা কিনে নিয়েছে এবং ক্ষমার বিনিময়ে কিনেছে শাস্তি এদের কী অদ্ভুত সাহস দেখো জাহান্নামের আযাব বরদাস্ত করার জন্যে এরা প্রস্তুত হয়ে গেছে (evKviv : 17)


শনিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৫

অামাদের উন্নয়ন কি সত্যই উন্নয়ন নাকি অভিশাপ।( Is it realy development or not!)

আমরা যে উন্নয়নের নামে য়ে কথা বলি, তা কি সত্যিই উন্নয়নের কাতারে পড়ে না , আমরা ভুলের অনুসরন করছি। আমাদের সকলের সচেতন থাকা উচিৎ!  আমার ও আমাদের আশেপাশে যারা বাস করছে তাদের জীবন ধারা বদলানোর চিন্তা করা উচিৎ! আমাদের সব সময় না হলেও একবার ভাবা দরকার আমরা কেমন করে মানুষ হলাম, আর মানুষ বলতেই বা কি বুঝাই। আমরা বেশির ভাগ মানুষ যখন কাওকে সন্তাসী বা অমানুষ বলি, তখন এই কথা মনে করি না যে যাকে  বলছি সেও তো আমার মত । কিন্তু কি কারনে তাকে আমরা সমাজ থেকে বিতাড়ীত করি।
সব সময় আমাদের ভাবা দরকার ,
কিসে মানুষ হয়?
কেনই বা সমাজে এই শ্রেণী ?
এই সকল কথা যদি আমরা না ভাবি তাহলে আমাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন:
আমি তোমাদেরকে আসন্ন শাস্তি সস্পর্কে সতর্ক(জানিয়ে দিলাম) করলাম; সেদিন মানুষ তার হাতের অর্জিত কৃতকর্ম প্রতক্ষ্য করবে এবং কাফির বলতে থাকবে: হাঁয়রে হতভাগা,  ’আমি যদি মাটি হয়ে যেতাম”। সুরা: নাবা ; আয়াত ৪০.

What we should do ?

মানুষ এক ফাঁকা খাতা বা কম্পউটারের সাথে তুলনা করলে অনেক মিল খুজে পাওয়া যায়, মানুষের সাথে তবে এখানে কথা থাকে মানুষকে যদি প্রাণী না ধরা হয় যদিও প্রাণী হিসাবে তো আর মানুষকে মানুষ বলা হয় না, তার জ্ঞানের জন্যই তাকে মানুষ বলা হয় সে যে তথ্য সংগ্রহ করে, সেই অনুযায়ী তার মানুষের রুপান্তর হয় যার কারনে যারা জ্ঞানী বা বোধ সম্পন্ন তাকে আমরা মানুষ বলি আর যার বোধ শক্তি নেই বা কম তাকে আমরা সমাজের মানুষ হিসাবে গণ্য করি না, সবাই তাকে পাগল বলে থাকি সেই দিক থেকে শিক্ষাই বা জ্ঞানই মানুষ গঠন করেছে এটাই সেই বিখ্যাত ডারউইন মতবাদ তার মত অনুসারে মানুষ বির্বতনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে তাই যখন তার কোন শিক্ষা জ্ঞান ছিল না তখন সে ছিল একটা প্রণী , তারই রুপান্তর  আজকের প্রযুক্তির যুগ আমি ডারউইনের মানুষ বির্বতনে মতবাদ মোটেও বিশ্বাস করি না কারন মানুষ সৃষ্টির প্রসঙ্গে আল্লাহ সু-স্পষ্ট  জ্ঞান মানুষের জন্য বলে দিয়েছেন কিন্তু তার মতবাদ অন্যস্থানে , যেমন মানুষ কি তা প্রমান করতে  এতো সুন্দর মতবাদকে অস্বীকার করা যায় না
আপনিও আমার সাথে একমত হবেন যেমন, যে প্রাণী মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে না্ , সেকি মানুষ ?
যে প্রাণী, সৃজনশীল কোন চিন্তা করতে পারে না , সেকি মানুষ ?
যে প্রাণী, ভালো-মন্দের বিচার করতে জানে না, সেকি মানুষ ?
যার বোধ শক্তি নেই, সেকি মানুষ ?
যে উপকারের কৃতজ্ঞত্বা স্বীকার করতে পারে না, সেকি মানুষ ?
যার কোন তথ্য জ্ঞান নেই, সেকি মানুষ ?
যে কোন সমাজ তৈরি করতে পারে না, সেকি মানুষ ?
এরকম আরো ইচ্ছা মত বলা যায়, যারা মানুষের বিচারে মানুষ নয় মানুষ হতে হলে তাকে উপরের গুণাবলি থাকা লাগবে, নতুবা সে মানুষ নয় আবার সমায়ের প্রেক্ষাপটে মানুষ হতে গেলে কতটুকু জ্ঞান থাকা লাগবে, তা মুলত সভ্যতার অগ্রগতির উন্নতির উপরে নির্ভর করে আপনি যদি তুলনায় কম অথবা বেশি জ্ঞানী হন, তবে সমাজের আপনি আর মানুষ থাকতে পারবেন না গাধা অথবা পাগল হতে হবে, এটাই প্রকৃতির বিধান যেমন : আদি সমাজের কোন মানুষকে যদি এই সমাজে চালাতে হয়, তবে লোকে তার ব্যবহারআচার দেখে তাকে নির্দ্বিধায় গাধা অথবা পাগল বলবেন আবার যদি ভবিষ্যত সমাজের কোন মানুষ যদি এই সমাজে থাকে, তবে তাকেও তার জানা তথ্যের কারনে , কোন কাজের পরিনামে তাদের ক্ষতির মুখে পড়বে সে জানে, এর এর দরুণ সে এই সমাজের অনেক কাজ করবে না, অন্যদিকে এমন কাজ করবে, যা এই সমাজের লোকে করবে না, ফলে সে হবে সমাজ বিরোধী তখন সমাজ তাকে পাগল বলে চিহ্নিত করবে যার সবচেয়ে জ্বল্ন্ত উদাহারণ বা দৃষ্টান্ত হযরত মোহাম্মদ (সঃ)’ তার কারন তিনি সমাজের প্রথাকে ভুল বলেছিলেন তিনি এমন কথা বলেছিলেন, যে কথা অনুসারে তাদের পুরো জাতি অনুসরণ করতো তিনি যখনি মানুষের কাছে কারো কাছে সত্য বলেছে, তখনি তাকে পাগল মনে করে তাড়িয়ে দিয়েছে এর পরও যখন তিনি সেই কথাই প্রচার করতে লাগলেন, তখন সমাজের লোক ধরে নিলমোহাম্মদপুরো বিকারগ্রস্থ পাগল হয়ে গিয়েছে  মোহাম্মদ সম্পর্কে আল্লাহ তার কোরআনে বলেছেন, তোমাদের সঙ্গি পাগল নন  তার এই কথার পর থেকে তারা শুধু পাগল বলেই চুপ থাকেনি , তাকে নিয়ে হাসি-তামাশা করেছে, এমকি তার পেছনে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের উষকিয়ে দিয়েছে তাকে নিয়ে মজা করার জন্য, তার পিছনে পিছনে যে বচ্চারা, তার মজা পাওয়ার জন্য পাথর ছুড়ে মেরেছে তার যন্ত্রনা কত কষ্টের সেই উপলব্ধি করে, যাকে নিয়ে খেলাটা করা হয় কি মহৎ মানুষেই ছিলেন তিনি যে বিরক্ত না হয়ে, তাদের তাড়া পর্যন্ত দেন নি সেই এই মহত্ব পুর্ণাঙ্গ সম্মান দিতে পারে যার হৃদয় ভয়ে কেঁপে উঠে, এই নির্মমত্বার কথা শুনার পর অন্য কেহ নয় কারন বাচ্চার ব্যঙ নিয়ে খেললে বাচ্চার জন্য তা মজার বিষয় হতেপারে , কিন্তু ব্যাঙের সেখানে বাঁচা-মরার প্রশ্ন থাকে
শিক্ষা মানুষকে কি দেয়? সেই প্রশ্নের উত্তরে বলতে গেলে আমার কথাই বলতে পারি কারন মানুষ তার নিজের লাভ ক্ষতি নিয়েই বেশি ব্যাস্ত থাকে আমি কোন জ্ঞানী নই, আমার দৃষ্টিতে আমি এমন পাপী বান্দা যাকে আল্লাহ তার সত্যের নিয়ামতের ভান্ডার মুক্ত হস্তে দান করেছেন, সেই দানের কণা মাত্রের পরিশোধের যোগ্যতা আমার নেই শুধু এইটুকুই বলতে পারি , আমি যে সামান্য বুঝি তা দিয়ে এইটুকু বুঝতে পেরেছি যে, কি কি পারি না , তার দুই একটা জানি যেমন : ধরুন তিন বছর আগে, আমাকে কেহ যদি প্রশ্ন করতো , তুমি কি কম্পিউটার সম্পর্কে জান ? উত্তরে বলতাম, মোটমুটি ধারনা আছে কিন্তু তিন বছর পরে কেহ কথা জিজ্ঞাসা করলে , বলি কম্পিউটারের কোন বিষয় সম্পর্কে জানার কথা বলছো ? কারন আমি তো অনেক বিষয় আছে জানি না তাহলে আমার সম্পর্কে ভালো না জানা করনে বা অজ্ঞ থাকার কারনে বলতাম ধারনা আছে, কিন্তু কিছু তথ্য জানার পর বুঝতে পারলাম কত বিষয় আছে যা আমি জানি না, আবার এমনও আছে যে বিষয় থাকতে পারে তা সম্পর্কেই আমি অবগত নই তাই শিক্ষাই মানুষকে জানিয়ে দেয় তার সীমাবদ্ধত্বা কতটুকু এখনো বাস্তবে যে কিছু দিন কম্পিউটার চালিয়েছে, তাকে প্রশ্ন করুন সেও বলবে, মোটামুটি পারি তাহলে প্রশ্নের উত্তর তার জানার পরিধির উপরে নির্ভর করে রবী-ঠাকুরের উপন্যাসের নায়কের মত উত্তরই দিতে হয়; কারন তার থেকে ভালো উত্তর আমি জানি না যদি আমি বলি আমি অনেক ভালো জানি, তবে লোকে বুঝবে নেহাত অহংকারী আর পাগল যে জানে সে কখনো মুখে বলে না আমি অনেক জানি আবার বলি যে, আমি শুধু এই টুকুজানি, যে আমি কিছুই জানিনে তবে লোকে বলবে, তুমি জানো না, তুমি কি আমাদের বোকা পেওছো নাকি? আবার কিছু লোক ভাববে তাহলে ভালো বড়মাপের জ্ঞানী না হলে বলতে পারে যে, আমি শুধু এইটুকু জানি যে আমি কিছুই জানি না তার কারন যখন কোন বিখ্যাত লোকের কাছে প্রশ্ন  করলে সে এই কথাই বলে আমার মত না জানা লোকের উত্তরও তো তাই আমি প্রকৃত পক্ষে কিছুই বিশেষ জানি না সবই সংগ্রহকৃত তথ্য
তাহলে একথা বলতে পারি , সমাজে সামাজিক মানুষ হতে হলে, সমাজের সমপরিমাণ জ্ঞান থাকা লাগবে, সমাজের সাথে তালমিলিয়ে চলতে পারলেই , মানুষ এর কাতারে গণ্য করবে নতুবা আপনাকে পাগল সমাজের কাছে হাসি-তামাসার পাত্র হতে হবে
এবার আসুন দেখি স্বাভাবিক ভাবে সমাজ অনুসারে মানুষ কিভাবে মানুষ তৈরী হয় এই একটা নাম না জানা লেখকের কবিতা বলতে পারি (সংগ্রহ শিব খেরার বই থেকে )
অনেক চোখ তোমাকে দেখছে
(Little eyes upon you)
দিন রাত্রি নিরবচ্ছিন্ন ভাবে
অনেক চোখ তোমাকে দেখছে
অনেক ছোট ছোট কৌতুহলী চোখ
তুমি যা বলছ তার প্রতিটি শব্দ
দ্রুত শোষণ করে নিচ্ছে অনেক ছোট ছোট উৎসুক কান
তুমি যা করছ
তাই করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে অনেক ছোট ছোট হাত;
এবং ছোট ছেলেটি স্বপ্ন দেখছে
সে একদিন তোমার মত হবে
তুমি ছোট ছেলেটির উপাস্য,
তার কাছে তুমিই বিজ্ঞতম,
তার অনবিজ্ঞ মনে
তোমার সম্পর্কে সন্দেহের কোনও ছায়াপাত ঘটেনি
গভীর বিশ্বাস আছে তোমার প্রতি,
তোমার প্রতিটি বাক্য কর্মকে সে গ্রহণ করে;


কেন মানুষের শান্তির প্রয়োজন ?
শান্তির একমাত্র পথে কেন আল্লাহর বিশ্বাস প্রয়োজন ?
আর সেই বিশ্বাস এর জন্য কতটুকু জ্ঞানের প্রয়োজন ?
আর জ্ঞান ব্যতিত কতটুকু বিশ্বাসী(মুমিন) হওয়া যাবে, আর তা দিয়ে কিরম প্রতিফল পাওয়া যাবে ?


জ্ঞান কি?
জ্ঞান কি সে বিষয়ে না জানলে আমরা তার পেছনে ছুটবোই বা কেন? তাহলে আমাদের প্রথমে জানতে হবে জ্ঞান বলতে কি বুঝি আর তার প্রকৃত অর্থ কি ? যদি আমরা তা জানতে পারি তাহলেই আমরা এর জন্য আমাদের মুল্যবান সমায়টুকু ব্যয় করতে পারবো নতুবা আমরা আমাদেরই ক্ষতি করবো কারন সমায়ের মধ্যদিয়েই আমাদের জীবন বাধা
নামাজের সাথে জ্ঞানের কি সাদৃশ্য আছে ?
কথার উত্তরে প্রথমেই একটা বিখ্যাত বেহলা বাদকের গল্প বলতে হয়, ‘ তিনি একদিন মঞ্চে সুন্দর সুর করে বেহালা বাজাচ্ছিলেন সূর থামতেই এক ভক্ত উঠে এসে বল্ল্ যে, আপনার মত বাজাতে পারলে, আমি জীবন দিয়ে দিতাম এর উত্তরে বাদক বল্ল, আমি অনেক অগেই আমার জীবন দিয়ে দিয়েছি, এটা বাজানোর জন্য আর আমার মধ্যে তেমন বিশাল প্রতিভা নেই, যার গুণে আমি এতো ভাল বাজাতে পারি, তা হচ্ছে নিয়মিত অনুশীলন আর আমি যদি একদিন না বাজাই, তাহলে আমি তার পার্থক্য আমি বুঝতে পারবো, একসপ্তাহ হলে, আমার স্ত্রী বুঝতে পারবে, আর একমাস হলে, আপনি পার্থক্যটা আপনিও বুঝতে পারবেন( দর্শকও বুঝতে পারবে ) কি দারুন সত্য কথা
কোন কাজে সফলতা পাওয়ার জন্য , নিয়মিত অনুশীলন ছাড়া কি সম্ভব ? মোটেও না আপনিও কথা বলবেন তাহলে আপনি কোন যুক্তিতে আল্লাহর দেওয়া এবং রাসুলের দেখানো জ্ঞান অর্জনের সৎ পথে যাওয়ার দিক নির্দেশক, “নামাজথেকে দুরে থাকবেন ? সেটা আপনি কখনোই অস্বীকার করতে পারবেন না কারণ আল্লাহ বলেছেন,” আমি দিয়েছি এক বিষ্ময়কর কুরআন যা পুনঃ পুনঃ পাঠ করা হয়
আবার সুরা আল- বায়ইনাতে বলা হয়েছে ; আয়াত:-;
لَمْ يَكُنِ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمُشْرِكِينَ مُنفَكِّينَ حَتَّىٰ تَأْتِيَهُمُ الْبَيِّنَةُ [٩٨:١]
আহলে-কিতাব মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের ছিল, তারা প্রত্যাবর্তন করত না যতক্ষণ না তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ আসত।

رَسُولٌ مِّنَ اللَّهِ يَتْلُو صُحُفًا مُّطَهَّرَةً [٩٨:٢]
অর্থাৎ আল্লাহর একজন রসূল, যিনি আবৃত্তি করতেন পবিত্র সহীফা, যাতে আছে, সঠিক বিষয়বস্তু।

وَمَا تَفَرَّقَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ إِلَّا مِن بَعْدِ مَا جَاءَتْهُمُ الْبَيِّنَةُ [٩٨:٤]
অপর কিতাব প্রাপ্তরা যে বিভ্রান্ত হয়েছে, তা হয়েছে তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পরেই।

وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاءَ وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ ۚ وَذَٰلِكَ دِينُ الْقَيِّمَةِ [٩٨:٥]
তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে, নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম।

إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمُشْرِكِينَ فِي نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا ۚ أُولَٰئِكَ هُمْ شَرُّ الْبَرِيَّةِ [٩٨:٦]
আহলে-কিতাব মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের, তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম।

إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ أُولَٰئِكَ هُمْ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ [٩٨:٧]
যারা ঈমান আনে সৎকর্ম করে, তারাই সৃষ্টির সেরা।






অর্থ বুঝে কোরআন না পড়লে কী করা হয়
আমার মতে কোরআনকে যদি কবিতার মত শুধু মুখ্স্ত করি তা কিছু ধর্মীয় কাজে পাঠ করি তবে লোভের বসে  শইতানের কাজকেই প্রসারিত করা হয়। বিষয়ে ভালো বই হলো:
B”QvK…Zfv‡e A_© Qvov KziAvb cov
¸bvn& bv mIqve-
লেখক  ডা. মতিয়ার রহমান  F.R.C.S (Glasgow)
†Rbv‡ij I j¨vcv‡ivmKwcK mvR©b
cÖ‡dmi Ad mvR©vix
XvKv b¨vkbvj †gwW‡Kj K‡jR I nvmcvZvj
XvKv, evsjv‡`k”
এই বিষয়ে বলার মত যথেষ্ঠ জ্ঞান হয়তো নেই তবুও আমি কোরআনের এই আয়াত আমার লেখায় অনুপ্রেরণা দেয় কারন যেটুকু জানি তাই মানুষের কাছে পৌছে দিয়েছি  , যারা আমার থেকে বেশি বোধ-শক্তি সম্পন্ন, হয়ত্ব তারা আমাদের সমাজে আল্লাহ দীন প্রতিষ্ঠা করবে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন;
إِنَّ الَّذِينَ يَكْتُمُونَ مَا أَنزَلَ اللَّهُ مِنَ الْكِتَابِ وَيَشْتَرُونَ بِهِ ثَمَنًا قَلِيلًا ۙ أُولَٰئِكَ مَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ إِلَّا النَّارَ وَلَا يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَا يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
A_©: ÔwbðqB hviv, Avj−vn (Zuvi) wKZv‡e hv bvwhj K‡i‡Qb Zv †Mvcb K‡i  Ges wewbg‡q Aí g~j¨ MÖnY K‡i, Zviv †hb †cU Av¸b w`‡q f‡i| Avj−vn  wKqvg‡Zi w`b Zv‡`i m‡½ K_v ej‡jb bv Ges Zv‡`i cweÎI Ki‡eb bv| Avi Zv‡`i R‡b¨ i‡q‡Q KwVb kvw¯|
অন্য অনুবাদে     নিশ্চয় যারা সেসব বিষয় গোপন করে, যা আল্লাহ কিতাবে নাযিল করেছেন এবং সেজন্য অল্প মূল্য গ্রহণ করে, তারা আগুন ছাড়া নিজের পেটে আর কিছুই ঢুকায় না। আর আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাদের সাথে না কথা বলবেন, না তাদের পবিত্র করা হবে, বস্তুতঃ তাদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।                        (evKviv : 174)
أُولَٰئِكَ الَّذِينَ اشْتَرَوُا الضَّلَالَةَ بِالْهُدَىٰ وَالْعَذَابَ بِالْمَغْفِرَةِ ۚ فَمَا أَصْبَرَهُمْ عَلَى النَّارِ [٢:١٧٥]
এরাই হল সে সমস্ত লোক, যারা হেদায়েতের বিনিময়ে গোমরাহী খরিদ করেছে এবং (খরিদ করেছে) ক্ষমা অনুগ্রহের বিনিময়ে আযাব। অতএব, তারা দোযখের উপর কেমন ধৈর্য্য ধারণকারী।
তাহফীমুল কুরআন(অনুবাদ):  এরাই হিদায়াতের বিনিময়ে ভ্রষ্টতা কিনে নিয়েছে এবং ক্ষমার বিনিময়ে কিনেছে শাস্তি এদের কী অদ্ভুত সাহস দেখো জাহান্নামের আযাব বরদাস্ত করার জন্যে এরা প্রস্তুত হয়ে গেছে                                          (evKviv : 17)
ذَٰلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ نَزَّلَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ ۗ وَإِنَّ الَّذِينَ اخْتَلَفُوا فِي الْكِتَابِ لَفِي شِقَاقٍ بَعِيدٍ [٢:١٧٦]
আর এটা এজন্যে যে, আল্লাহ নাযিল করেছেন সত্যপূর্ণ কিতাব। আর যারা কেতাবের মাঝে মতবিরোধ সৃষ্টি করেছে নিশ্চয়ই তারা জেদের বশবর্তী হয়ে অনেক দূরে চলে গেছে।
তাহফীমুল কুরআন(অনুবাদ): এসব্ কিছুই ঘটার কারণ হচ্ছে এই যে , আল্লাহ তো যথার্থ সত্য অনুযায়ী কিতাব নাযিল করেছিলেন কিন্তু যারা কিতাবে মতবিরোধ উদ্ভাবন করেছে তারা নিজেদের বিরোধের ক্ষেত্রে সত্য থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছে              (evKviv : 17)
لَّيْسَ الْبِرَّ أَن تُوَلُّوا وُجُوهَكُمْ قِبَلَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَلَٰكِنَّ الْبِرَّ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالْكِتَابِ وَالنَّبِيِّينَ وَآتَى الْمَالَ عَلَىٰ حُبِّهِ ذَوِي الْقُرْبَىٰ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَالسَّائِلِينَ وَفِي الرِّقَابِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَالْمُوفُونَ بِعَهْدِهِمْ إِذَا عَاهَدُوا ۖ وَالصَّابِرِينَ فِي الْبَأْسَاءِ وَالضَّرَّاءِ وَحِينَ الْبَأْسِ ۗ أُولَٰئِكَ الَّذِينَ صَدَقُوا ۖ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُتَّقُونَ [٢:١٧٧]
তাহফীমুল কুরআন(অনুবাদ): তোমাদের মুখ পূর্ব দিকে বা পশ্চিম দিকে ফিরাবার মধ্যে কোন পুণ্য নেই ১৭৫   বরং সৎকাজ হচ্ছে এই যে, মানুষ আল্লাহ, কিয়ামতের দিন, ফেরেশতা আল্লাহর অবতীর্ণ কিতাব নবীদেরকে মনে প্রাণে মেনে নেবে এবং আল্লাহর প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজের প্রাণপ্রিয় ধন-সম্পদ, আত্মীয়-স্বজন, এতীম, মিসকীন,মুসাফির , সাহায্য প্রার্থী ক্রীতদাসদের মুক্ত করার জন্য ব্যয় করবে আর নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দান করবে যারা অংগীকার করে তা পূর্ণ করবে এবং বিপদে-অনটনে হকবাতিলের সংগ্রামে সবর করবে তারাই সৎ সত্যাশ্রয়ী এবং তারাই মুত্তাকী
সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার।   (evKviv : 17)
এতো ব্যাখ্যা দেওয়ার পর আর এই সম্পর্কে ব্যাখ্যার প্রয়োজন থাকে না, কারন আল্লাহ এতো সুন্দর করে বলে দিয়েছেন। তারপর আবার ব্যাখ্যা করা বাড়াবাড়ি হয়। তবুও সহজে মুল কথাটা ব্যাখ্যা করা দরকার।


নামাজ সম্পর্কে বাংলার নামাজীদের মত:
একজন সে প্রাই ওয়াক্ত নামাজ পড়ে সমায় পেলে, মাঝে মাঝে অন্যের ক্ষেতে কাজে গিয়ে নামাজ না পড়লেও পরে পড়ে তার মতে, “কোন মানুষ যদি যোহরের নামাজের সমায় ইসলাম গ্রহণ করে, তবে তাকে সমায়ই নামাজ পড়তে হবে।

আবার একজন যে মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস, তার মতে: নামাজ একজন কাফের ইমানদারের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশক। হাদিস থেকে পাওয়া তার মতে এটা সহি-হাদিস।

আবার আর একজন সে সমাজের সম্মান্বিত বংশের ৪০-৫০ এর বয়সী আনুমাকি, নামাজ ঠিক মত পড়ে না, এবং নেশাও করে মাঝে মাঝে তার মতে:যে ধর্ম নিয়ে বেশি ঘাটে বা তা নিয়ে সেই বেশি অধর্মের পথে ধর্ম এমন তা নিয়ে পন্ডিত্য করা যাবে না। তাই আগে দেখতে হবে সে নামাজী কিনা, কিরম ধর্ম মানে, তার কথা মানতে হবে। আর এটা নিয়ে বেশি ঘাটঘাটি করা ঠিক নয়। নিভৃতিতে ধর্ম মানাই সঠিক পথ।

আবার কারো মতে, যে ব্যক্তি ভালো কাজ করল , কিন্তু নামাজ পড়লো না সে ইমানদার নই।

কিছু মানুষ আছে তারা বলে, আমি তো ইমানের পথে আছি, আমি নামাজ পড়ছি, রোজা রাখছি, আবার সামর্থ মত আল্লাহর পথে কাজ করছি। এটাই ইসলামের পথ নয়।

আমাদের সমাজে কিছু লোক আছে যারা ইসলামের দলের কর্মী তারা নামাজ সম্পর্কে এরকম বলে থাকেন: নামাজ হচ্ছে ফরজ, নামাজ না থাকলে তার ইমান থাকে না। তারা  বলে  “ আল্লাহ বলেছেন, তোমরা নামজ কায়েম করো, রোজা রাখ যাকাত দাও। এধরণের আরো কিছু কোরআনের উদ্ধৃতি দেয় নামাজের জন্য। এবং হাদিস থেকেও বলে।






সুরা : রাফ  আয়াত:২৮-৩০


وَإِذَا فَعَلُوا فَاحِشَةً قَالُوا وَجَدْنَا عَلَيْهَا آبَاءَنَا وَاللَّهُ أَمَرَنَا بِهَا ۗ قُلْ إِنَّ اللَّهَ لَا يَأْمُرُ بِالْفَحْشَاءِ ۖ أَتَقُولُونَ عَلَى اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ [٧:٢٨]
তারা যখন কোন মন্দ কাজ করে, তখন বলে আমরা বাপ-দাদাকে এমনি করতে দেখেছি এবং আল্লাহও আমাদেরকে নির্দেশই দিয়েছেন। আল্লাহ মন্দকাজের আদেশ দেন না। এমন কথা আল্লাহর প্রতি কেন আরোপ কর, যা তোমরা জান না।
قُلْ أَمَرَ رَبِّي بِالْقِسْطِ ۖ وَأَقِيمُوا وُجُوهَكُمْ عِندَ كُلِّ مَسْجِدٍ وَادْعُوهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ ۚ كَمَا بَدَأَكُمْ تَعُودُونَ [٧:٢٩]
আপনি বলে দিনঃ আমার প্রতিপালক সুবিচারের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তোমরা প্রত্যেক সেজদার সময় স্বীয় মুখমন্ডল সোজা রাখ এবং তাঁকে খাঁটি আনুগত্যশীল হয়ে ডাক। তোমাদেরকে প্রথমে যেমন সৃষ্টি করেছেন, পুনর্বারও সৃজিত হবে।
فَرِيقًا هَدَىٰ وَفَرِيقًا حَقَّ عَلَيْهِمُ الضَّلَالَةُ ۗ إِنَّهُمُ اتَّخَذُوا الشَّيَاطِينَ أَوْلِيَاءَ مِن دُونِ اللَّهِ وَيَحْسَبُونَ أَنَّهُم مُّهْتَدُونَ [٧:٣٠]
একদলকে পথ প্রদর্শন করেছেন এবং একদলের জন্যে পথভ্রষ্টতা অবধারিত হয়ে গেছে। তারা আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করেছে এবং ধারণা করে যে, তারা সৎপথে রয়েছে।